মাইক্রোকন্ট্রোলার একটি ছোট্ট কম্পুটার। এটা একটা ইলেক্ট্রনিক IC হিসেবে পাওয়া যায়। অন্য কম্পুটারের মত এতে প্রসেসর কোর, মেমরি, এবং প্রোগ্রামেবল ইনপুট / আউটপুট যন্ত্রানুষঙ্গ এতে থাকে। মাইক্রোকন্ট্রোলার অটোমোবাইল ইঞ্জিন নিয়ন্ত্রণ সিস্টেম, ডাক্তারির যন্ত্রপাতি, রিমোট কন্ট্রোল, অফিসের মেশিন, যন্ত্রপাতি, শক্তি সরঞ্জাম, খেলনা ও অন্যান্য নানারকমের স্বয়ংক্রিয় ডিভাইসে ব্যবহার করা হয়। একটা microprocessor, মেমরি, এবং ইনপুট / আউটপুট ডিভাইস ব্যবহার করে পুরনো দিনের ইলেক্ট্রনিসের যন্ত্রের তুলনায় আয়তন এবং খরচ কমিয়ে দেয়। এই জন্য আজকাল মাইক্রোকন্ট্রোলারের ব্যবহার লাভজনক হয়ে পড়েছে।
|
বড় মাইক্রোকন্ট্রোলার |
|
খুব ছোট মাইক্রোকন্ট্রোলার |
মাইক্রোকন্ট্রোলার একটি প্রসেসর, মেমরি এবং যন্ত্রানুষঙ্গ সঙ্গে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ সিস্টেম বলা যেতে পারে। এটাতে সাধারণভাবে, একটা সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট থাকে। খুব জটিল 32-বিট বা 64 বিট প্রসেসর থেকে ছোট এবং সহজ 4-বিট প্রসেসর ব্যবহার হয়ে থাকে। ছোটো তথ্য সংগ্রহের জন্য কিছু পরিমাণ RAM আর প্রোগ্রাম রাখার জন্য রম, ইপিআরওএম, EEPROM অথবা ফ্ল্যাশ মেমরি থাকে। আর থাকে তথ্য আদান প্রদানের জন্য পোর্ট -- সিরিয়াল পোর্ট হিসেবে সিরিয়াল ইনপুট / আউটপুট (UARTs) সিস্টেম ইন্টারকানেক্ট জন্য I²C, সিরিয়াল পেরিফেরাল ইন্টারফেস এবং কন্ট্রোলার এরিয়া নেটওয়ার্ক মত অন্যান্য সিরিয়াল যোগাযোগ ইন্টারফেস। এছাড়া থাকে টাইমার, ইভেন্ট কাউন্টার, PWM জেনারেটর, এবং পাহরাদার হিসেবে কিছু যন্ত্রানুষঙ্গ, অনেক এনালগ টু ডিজিটাল কনভার্টার, কিছু ডিজিটাল টু এনালগ কনভার্টার।
|
মাইক্রোকন্ট্রোলারের ভেতরের যন্ত্র |
এত কিছু জিনিস থাকার জন্য বেশীরভাগ সময় এর পিন গুলো একের বেশি কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। দেখা যাক এই IC টাকে :-
এই IC টা ব্যবহার করে আমরা নানা রকমের জিনিস বানাতে পারি। সেটা আমরা এর পরের লেখায় দেখব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন